Nihar Nath 's Album: Wall Photos

Photo 14 of 258 in Wall Photos

ডোকলামের পর পুনঃরায় লাদাখে সামনা সামনি ভারত এবং চীনের আর্মি।দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই আমরা তিনটি জিনিস এর কোন পরিবর্তন দেখিনি,আর সেগুলি হল :--

১. ভারতীয় আর্মির 'মিরর ডেপ্লয়মেন্ট'।অর্থাৎ প্রতিপক্ষ যে পরিমাণ সৈন‍্য সীমান্তে মোতায়েন করছে,ভারত ও সেই পরিমান সৈন‍্য বল সীমান্তে মোতায়েন করেছে।

২. দ্রুতগতিতে সৈন‍্যদের সীমান্তে নিয়ে গেছে ভারত,চীনকে দ্বিতীয় কোন সুযোগ না দিয়ে।এর থেকে প্রমাণিত হয়ে যায় ভারতের তাৎক্ষণিক মোতায়েন ক্ষমতা।

৩. নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসা।ডোকলাম ইস‍্যুতে চীন ভুটানের ডোকলামে স্থাপনা করতে চেয়েছিল।চীনের উদ্দেশ্যে ছিল স্থাপনা করা,ভারতের দাবী ছিল,সেখানে কোন নির্মাণ কাজ করা যাবে না।দীর্ঘ একমাস মুখোমুখি অবস্থানের পর চীন ঐ স্থান থেকে চলে গেলে,ভারত‌ও ফিরে আসে।
লাদাখ ইস‍্যুতেও আমরা এক‌ই জিনিস দেখতে পাই।চীনের দাবী ঐ অঞ্চলে তারা ভারতকে রাস্তা তৈরী করতে দেবে না।ভারতের সিদ্ধান্ত নিজেদের অংশে তারা রাস্তা তৈরী করবেই।আর ভারত সেই সিদ্ধান্ত মত‌ই ঐ স্থানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরী করে যাচ্ছে এখনো,যেগুলি একেবারে LAC পর্যন্ত যাবে।কাজে দ্রুততা আনার জন‍্য অতিরিক্ত শ্রমিকদের ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষের আলোচনার পর LAC অঞ্চল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তিন জায়গা থেকে চীনা বাহিনী তাদের সৈন‍্যবল আড়াই কিলোমিটার পিছনে নিয়ে গেছে।ভারত‌ও সেই স্থান থেকে সৈন‍্যদের নিয়ে এসেছে।কিন্তু এখনো LAC এর অপর প্রান্তে চীন প্রায় দশ হাজার সেনা ,আর্মর ভেহিকেল,ট‍্যাঙ্ক মোতায়েন করে রেখেছে।ভারত চীনকে পরিস্কার জানিয়েছে LAC এর ওপাশ থেকে তাদের সরাতে,নাহলে ভারত‌ও তাদের ডেপ্লয়মেন্ট সরাবে না (MBT,IFB ইত্যাদি)।

আমরা সকলেই জানি ডোকলামের মতো লাদাখ পরিস্থিতিও চীনের সৃষ্টি করা একটি নাটকের অংশ।যে নাটক খুব শীঘ্রই শেষ হবে।উত্তেজনা যেটা শুরু হয়েছিল হঠাৎ করে,হঠাৎ করে একদিন শেষ‌ও হয়ে যাবে।কিন্তু তারপরেও যদি ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর দুই দেশের যুদ্ধ লাগে তাহলে ফলাফল কি হবে ?

এর উত্তর জানার জন‍্য আমরা আজ চীনা মিলিটারি বিশেষজ্ঞ হুয়াং গৌঝি এর সম্প্রতি করা একটি বিশ্লেষণ এর দিকে তাকাবো।তিনি 'মর্ডান ওয়েপনারি' ম‍্যাগাজিন এর মাধ‍্যমে চীন সরকার কে সাবধান করেছেন এবং বলেছে :-
' পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এবং অভিজ্ঞ মিলিটারি,যারা পার্বত্য অঞ্চলে ও মালভূমি তে যুদ্ধের জন‍্য সর্বপেক্ষা পারদর্শী, তারা আমেরিন বা রাশিয়ান নয়,তারা ভারতীয়'
সিয়াচেনের মতো হিমালয়ান হাইট এ ভারতের একশো এর ওপর ক‍্যাম্প করে রেখেছে,যেখানে সর্বদা সাত হাজারের ওপর সৈন‍্য মোতায়েন থাকে।ভারতের কাছে দুই লক্ষ এমন অ্যাক্টিভ আর্মি রয়েছে,যারা এক কথায় সুদক্ষ পর্বতারোহী।এরা সবাই সিয়াচেন এ মোতায়েন হয়েছে এবং সবাই পাহাড়ে যুদ্ধের জন‍্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত।তাছাড়া ভারতে গারোয়াল,গোর্খা,নাগা সহ বিভিন্ন জনজাতির সৈন‍্যবল রয়েছে,যারা জন্মগত ভাবেই পাহাড় কে প্রতি ইঞ্চিতে চেনে।
তাছাড়া ভারত শুধুমাত্র চীনকে লক্ষ্য করেই "মাউন্টেন স্ট্রাইক ক্রপস" তৈরী করা শুরু করেছে।ইতিমধ্যে প্রথম মাউন্টেন স্ট্রাইক ক্রপস '১৭- স্ট্রাইক ক্রপস' গঠন হয়ে গেছে,যার অপর নাম ব্রহ্মাস্ত্র।এই ক্রপস এ প্রায় নব্বই হাজার সৈন‍্য বল থাকছে।এদের এক কথায় বলা যায় পাহাড়ে যুদ্ধের স্পেশাল ফোর্স।এদের হেড-কোয়ার্টার পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে অবস্থিত।এদের কাছে M-777 হুইটজার, চিনুক,ব্রহ্মস মিসাইল,মেইন ব‍্যাটেল ট‍্যাঙ্ক, সুপার হারকিউলিস বিমান থাকছে।
আমেরিকার মতো দেশ আফগানিস্তানের পাহাড়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যায়। পাহাড়ের যুদ্ধে ভারতের কোন দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতে পারে না।

ভারতকে হিমালয়ের আশির্বাদ বলা হয়।আর সেই হিমালয়ের কোলে এসে চীনারা ভারতকে ২০২০ তে এসে চোখ রাঙিয়ে যাবে,তা সম্ভব নয়।

#TGIDNIB
#KNIGHT