সামান্য একটি চেয়ারকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হলো এক হিন্দু যুবককে। ওই যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়। মৃত ওই যুবকের নাম ঋতুপর্ণ পেগা। পুরো ঘটনা দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে রেকর্ড হয়েছে। তাঁর সূত্র ধরে পুলিস দোকান মালিক হুসেন আলিসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনা আসামের গুয়াহাটি শহরের।
জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে আসবাবপত্র কিনতে বেরিয়েছিলেন কমার্স কলেজ এলাকার বাসিন্দা ঋতুপর্ণ পেগা। তিনি শহরের মুসলিম মালিকানার দোকান ‛আরমান হোম ফার্নিশিং’ -এ যান। সেখানে একটি চেয়ারে বসা নিয়ে দোকানের কর্মচারী আরমান আলীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় ঋতুপর্ণর। তখনই আরমান আলীকে এক চড় মারেন ঋতুপর্ণ। তারপর তার বাড়ির লোকজনকে ফোন করে ডাকে আরমান। তাঁরা ওই দোকানে এসে ঋতুপর্ণকে দোকানে ফেলে মারতে থাকে। তাঁর স্ত্রী স্বামীকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। তখনই আরমান ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপায় ওই হিন্দু যুবককে। তারপর দোকান মালিক হুসেন আলী গলার নলি কেটে খুন করে ঋতুপর্নকে তাঁরই স্ত্রীর সামনেই। এসিপি দেবরাজ উপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনায় আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁরা হলো হুসেন আলী, আরমান আলী, দুলাল আলী এবং মনোয়ারা খাতুন।