লাদাখ-তিব্বত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সমস্ত বিষয় পরিস্কার করলেন।এতদিন ভারতীয় মিডিয়ায় চলা তথাকথিত সামরিক বিশেষজ্ঞ দের ছড়ানো গুজবদের উড়িয়ে দিলেন।তিনি বলেন :--
১. না তারা LAC অতিক্রম করেছে,আর না আমাদের কোন পোষ্ট দখল করেছে।আমাদের ২০ জন বীর যোদ্ধা বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন,কিন্তু যারা ভারত মাতার সার্বভৌমত্ব কে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করেছিল,তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
২. আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আমাদের যা যা করার দরকার (ডেপ্লয়মেন্ট, অ্যাকশন,কাউন্টার-অ্যাকশন) -- তা সবই করবে আমাদের সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌবাহিনী।
৩.আজ আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে,কেউ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।আমাদের সৈন্যরা একত্রে অনেক সেক্টরে যাওয়ার (যুদ্ধে) ক্ষমতা রাখে।
৪. আমাদের সীমান্ত পরিকাঠামো আগের তুলনায় ব্যাপক উন্নত হওয়ায়,আমাদের সেনারা এখন তাদের (চীনাদের) সীমান্তের সর্বত্র বাধা দেয়,তাদের প্রশ্ন করে।যেটা আগে হত না।যে জায়গা আগে আমরা পর্যবেক্ষণে রাখতে পারতাম না,আজ সেই জায়গাও আমাদের নজরে রয়েছে।
৫. বিগত কয়েক বছরে দেশের সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে,সীমান্ত পরিকাঠামোর পাশাপাশি , ফাইটার জেট,মিসাইল ডিফেন্স, হেলিকপ্টারে -- যা যা প্রয়োজন সমস্ত কিছুর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
৬. চীনের সাথে আমরা ডিপ্লোমেটিক ভাবেও আলোচনা চালাচ্ছি।তবে আমরা আমাদের সেনাদের তাদের প্রয়োজন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।দেশের সার্বভৌমত্ব কে রক্ষায় কোন আপোষ হবে না।
আশা করি এতদিন ধরে বিভিন্ন গুজব (ভারতের জমি চীন দখল করে রেখেছে,ভারতের সৈন্যদের চীন অপহরণ করে রেখেছে ইত্যাদী) ছড়ানো তথাকথিত সামরিক বিশেষজ্ঞ দের মুখে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চপেটাঘাত করবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের নোংরা গুজব ছড়ানোর থেকে তারা বিরত থাকবে।