যখন ভারত-চীন এর মধ্যে কূটনৈতিক ভাবে কথাবার্তার মাধ্যমে সীমান্ত দ্বন্দ্ব মিটমাট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,এমন সময় স্যাটেলাইট ইমেজ এ চীনের ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল,যার থেকে বোঝা যায় আলোচনা চালানোটা একটা ফাঁদ বিশেষ।
ম্যাক্সার টেকনোলজি স্যাটেলাইট গত ২২ এ জুন (আলোচনা শুরুর পরের দিন) গালোয়ান উপত্যকায় পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ (#PP14) এর একটি ছবি তুলেছে,যেখানে দেখা যাচ্ছে চীন তাদের সৈন্যবল ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে এবং সেখানে ডিফেন্সিভ স্ট্রাকচার গঠন করেছে।জায়গাটি ১৫/১৬ জুনের খুনি রাতের জায়গা থেকে বেশি দূরে নয়।তবে তা ভারতের লাদাখে,চীনা LAC এর অপর পাশে অবস্থান করছে।তবে আরেকটি রিপোর্ট বলছে,স্থানটি হল সেই জায়গাটি যেখান থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনাদের মেরে ভাগিয়েছিল,এবং সেখানে চীনা ক্যাম্প-টেন্ট এর ভগ্নাংশ ও পরে থাকতে দেখা গেছে।তাছাড়া চীনা সৈন্যরা লাদাখে ভারতীয় বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার-ফিল্ড এর এরিয়ায় পেট্রোল পয়েন্ট দশ থেকে তেরোর মধ্যেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখমুখি অবস্থান করছে বলে যানা যাচ্ছে।
তবে আসল সমস্যা বর্তমানে প্যাংগং হ্রদে সৃষ্টি হয়ে রয়েছে।ঐতিহাসিক ভাবেই ভারতীয় লাদাখে ১৯৬২ সালের পর সৃষ্টি হওয়া অফিসিয়াল LAC তে দুই ধরনের দাবী কাজ করে।ভারতীয় দাবী LAC ফিঙ্গার-৮ অঞ্চল পর্যন্ত, চীনের দাবী LAC ফিঙ্গার-৪ এর অপর পাশে ফিঙ্গার-৩ পর্যন্ত।এর মাঝের স্থানটিকে বলা হয় গ্রেজোন।এই অঞ্চলে আগে দুই দেশই পেট্রোলিং করত।তবে বর্তমানে চীন ফিঙ্গার-৪ এর আগে পর্যন্ত তাদের ক্যাম্প বিস্তার করেছে,যা চিন্তা জনক বিষয়।
২০১৩ সালে চীন সেনাবাহিনী দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার ফিল্ড এর দিকে LAC পেরিয়ে ৩৪ কিলোমিটার ভেতরে ক্যাম্প বসায়,পরে তা উঠিয়ে নেয়।১৯৯৯ সাল থেকেই চীন একটু একটু করে ফিঙ্গার-৮ পেরিয়ে সেই স্থানে রাস্তা তৈরী করতে থাকে।ভারত সরকার তখন কেনো চুপ ছিল তা প্রশ্ন উঠতে পারে।
যাই হোক এই সমস্ত কিছু তথ্যই ২২ শে জুন এর স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে।এখন সরকারের উচিত,আরো একবার লাদাখ পরিস্থিতি জনগণের সামনে তুলে ধরা,কোন ধরনের বড় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আগেই।