বর্তমানে সময়ের প্রধান দাবী,করোনা প্রতিষেধক।আর এই দবী পূরণের অন্যতম প্রধান কারিগর ভারত।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে রাখা চৈনিক মারক ভাইরাস করোনার প্রকোপে সবাই অতিষ্ঠ।সারা পৃথিবীতে চলছে এর থেকে রাহাই পাওয়ার কাজ,অর্থাৎ এর প্রতিষেধক তৈরীর কাজ।এর আগে সারি পৃথিবীতে সম্ভবত সবাই একসাথে এরকম এমারজেন্সী ভাবে কোন প্রতিষেধক তৈরীর কাজে হাত দেয় নি,আজ যেমনটা হচ্ছে করোনার প্রতিষেধক তৈরীর জন্য।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ১৪০ টি আলাদা আলাদা করোনার প্রতিষেধকের কাজ চলছে বিভিন্ন দেশে।আর এই সমস্ত প্রতিষেধক গুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে (ট্রায়াল ফেজ অনুসারে) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট এর তৈরী AZD122 প্রতিষেধক এবং ওয়াসিংটন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর তৈরী MRNA-1273 প্রতিষেধক।এই দুই প্রতিষেধক তৈরীর জন্য যে দুই কোম্পানি লাইসেন্স পেয়েছে,তারা হল - ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রা জেনেকা এবং আমরিকান মডার্না ফার্মাসিউটিক্যালস।আর এই দুই কোম্পানি তাদের লাইসেন্স পাওয়া করোনা প্রতিষেধক এর ব্যাপক উপাদনের জন্য বেছে নিয়েছে ভারতীয় ঔষধ উৎপাদক কারী সংস্থা গুলিকে,যার মধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট অন্যতম।
বাইরের দেশের গবেষণা করা প্রতিষেধক যেমন ভারতে তৈরীর কাজ চলছে,তার সাথে সাথে পাল্লা দিয় চলছে দেশী প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ।ভারতে ICMR এর 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরালোজি' এবং CSIR এর 'সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি' এর মতো সংস্থা গুলি করোনার ওপর রিসার্চ করা ফলাফলের ওপর ভিক্তি করে,দেশের মোট ছয়টি কোম্পানি ভারতের নিজস্ব করোনা প্রতিষেধক তৈরীর কাজ করছে।এই ছয়টি কোম্পানির মধ্যে দুটি কোম্পানির প্রতিষেধক মানব দেহে ট্রায়ালে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে,আর সে দুটি প্রতিষেধক হল :-- ভারত বায়োটেক এর COVAXIN এবং জিদাস ক্যাডিলা এর ZyCOV-D প্রতিষেধক।উল্লেখযোগ্য যে,সারা পৃথিবীতে যে ১৪০ টি করোনা প্রতিষেধক প্রস্তুতির কাজ চলছে,তার মধ্যে মাত্র ১১ টি ভ্যাকসিন কেই এখনো পর্যন্ত মানব দেহে ট্রায়ালের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।আর এই ১১ টি ভ্যাকসিন এর মধ্যে ভারতের নিজস্ব দুটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
এবার বলি কেন ভারত করোনা প্রতিষেধকের অন্যতম প্রধান কারিগ হতে চলেছে।বিগত বছর গুলিতে ভারত সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং হাভ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।UNICEF অনুমদিত মোট উৎপাদিত বিভিন্ন প্রতিষেধকের ৬০% ই ভারতে তৈরী হয়।ভারত থেকে সারা পৃথিবীতে প্রতিষেধক পাঠানো হয়।তাই করোনা প্রতিষেধকে আবিষ্কার ভারতে হোক বা বাইরে হোক (অথবা মঙ্গল গ্রহেই হোক না কেন),ভারতীয় ঔষধ উৎপাদককারী সংস্থা গুলি যতক্ষণ মাঠে না নামছে,ততক্ষণ পর্যন্ত সারা পৃথিবী করোনা মুক্ত হবে না।