Pranab Sikdar's Album: Wall Photos

Photo 2 of 10 in Wall Photos

'থ্রি-ইডিয়টস'এর একটি বিখ্যাত ডায়লগ আছে,
'চাবুক কে ডর সে তো শের ভি উছলকে টেবিল পে বয়ঠ যাতা হ্যায়। ইসে হম ওয়েল ট্রেন্ড বোলতে হ্যায়। ওয়েল এডুকেটেড নহি।' সাক্ষরতা কখনওই শিক্ষার সার্টিফিকেট নয়। না সাক্ষর মানে শিক্ষিত হওয়া। দেশের একটা রাজ্য, না শুধু রাজ্য বললে আবার অনেকের গোঁসা হবে। দেশের একমাত্র বামপন্থী রাজ্যটি নিয়ে এপার ওপার সেপারের বামেদের গর্বের শেষ নেই। মাঝেমাঝেই চোখে আঙুল দাদারা এসে বলে যান দেখো কেরল করোনা মডেল। দেখো কেরল বন্যা মডেল। দেখো কেরল বামপন্থী মডেল। এবং বামেদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বহুল প্রচারিত দাবিটি হল কেরলে ৯৩% মানুষ শিক্ষিত। এটা চূড়ান্ত মিথ্যে কথা। এর চেয়ে বরং মাও আর স্তালিন গৌতম বুদ্ধের শিষ্য ছিলেন বললে মেনে নেওয়া যায়। কেরলে সাক্ষরতার হার ৯৩ শতাংশ কিন্তু শিক্ষিতের হার?

একটা হাতি, একটা মা, যার পেটে প্রিয় সন্তান। মা হাতি ভোট দেয় না। দু'পেয়ে কথা বলা জানোয়ারদের পৃথিবীতে ক্রমশ সংখ্যালঘু হয়ে পড়া হাতির কোনও সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নেই৷ সে খাবার খোঁজে। খাবারের খোঁজে গাছপালা ঘেরা অরণ্যসমাজ থেকে ৯৩% শিক্ষিত মানুষদের জঙ্গলে এসেছিল! ব্যস, এটুকুই তার অন্যায়! আনারসের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে তাকে খাওয়ানো হল। তারপর সেই বাজি যখন হাতির পেটে ফাটছিল, বিস্ফোরণে ফালাফালা হয়ে যাচ্ছিল তার পেটের শিশু। মায়ের পেটেই ছড়িয়ে পড়ছিল মৃত শিশুর রক্ত মাংস হাড়। আস্তে আস্তে পুড়ে যাচ্ছিল পেট, বারুদ পোড়াচ্ছিল শুঁড়! যন্ত্রণা সহ্য করে করে মরার আগে হয়ত সেই মানুষদের কাছেই সাহায্য চেয়েছিল মা হাতিটি, যারা একটু আগে ওর খাবারে মিশিয়েছে বিষ! হয়ত বা এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছিল! পেটে অসহ্য জ্বালা সহ্য করতে না পেরে! দৌড়ে নেমে এসেছিল নদীর জলে! যদি জল একটু জ্বালা কমাতে পারে! আর এই পৈশাচিক দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিল ৯৩ শতাংশ সাক্ষর রাজ্যের কিছু মানুষ? এ কেমন সাক্ষরতা? এ কেমন শিক্ষা?

ভাবুন, আপনি বা আপনার কোন প্রিয়জন গর্ভবতী। খিদের জ্বালায় খাবার চাইতে এসেছেন কোথাও। সেখানের মানুষ বাজির সলতেয় আগুন লাগিয়ে দিয়ে...
না থাক এতটা নিষ্ঠুর ভাবনা ভাবা নাই ভালো!

মা হাতির খাবারে বারুদ মিশিয়ে মেরে ফেলার সঙ্গে কোনও কিছুর মিল পাচ্ছেন? বিশ্বের আর কোথাও এরকম ঘটনা ঘটে? বিশ্বে আর কোনও দুপেয়ে জীবরা মানুষের খাবারে বারুদ মেশায়? হ্যাঁ মেশায়, আলবাত মেশায়। মানুষের খাবারে বারুদ মিশিয়ে পাশবিকতা উপভোগকারী একটি সংগঠন হল আইসিস( ISIS)। এবার চট করে গুগল করে দেখে নিন ভারতে কোন রাজ্য থেকে আইসিসে যোগ দেয়া ছেলেমেয়ের সংখ্যা সর্বাধিক।

যাই হোক এক মায়ের খাবারে বারুদ মেশানো হত্যাকারীদের ফাঁসির সাজার দাবি তুললাম। যতদিন এরকম কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হচ্ছে, কিছু জরিমানা ও জেলের মাধ্যমে (অনেকের ক্ষেত্রে সেটুকুও নয়) ছাড় পাওয়া যাচ্ছে! ততদিন কেউ বন্দুক দিয়ে রেইন ডিয়ার মারবে, কেউ বারুদ বাজি দিয়ে গর্ভবতী হাতি। তাই কঠোরতম শাস্তির দাবি জানালাম।

শে খ র ভা র তী য়।।