বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কালনা কাটোয়া's Album: Wall Photos

Photo 25 of 28 in Wall Photos

দুই দিন পরেই বিয়ে, কত স্বপ্নই না ছিল গাজিয়াবাদের ১৯ বছর বয়সী নাইনা কৌর এর দুই চোখে। পেশায় নার্স নাইনা মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাজারে বিয়ের কেনাকাটা করতে। কিন্তু কে জানতো, রাস্তায় ওত পেতে বসে আছে কিছু হিংস্র জানোয়ার, যারা নিমেশে শেষ করে দেবে ১৯ বছরের মেয়েটির সব সাধ আহ্লাদ, এমনকি তার জীবনও, ধ্বংস করে দেবে একটা গোটা পরিবারের ভবিষ্যত।

২২ শে জুন বিয়ে, বিয়ের কেনাকাটা করতে মা নীলিমা ও বাবা বলদেবের সঙ্গে বের হন পেশায় নার্স নাইনা কৌর। বিয়ের মার্কেটিং শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে নাইনা ফাস্টফুড খেতে চায়লে তার বাবা বলদেব ফাস্টফুড কিনতে একটা দোকানের দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু তাদের জানা ছিল না পিছন থেকে তাদেরকে অনুসরণ করা হচ্ছে। বলদেব বাবু কিছুদূর এগোতেই মোটরসাইকেলে চড়ে মুখোশ পরা তিন ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ে নাইনার উপরে। নাইনার মা নীলিমা দেবী এগিয়ে এলে তাকে থাপ্পড় মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় ওদের মধ্যে একজন। তারপর ধারালো অস্ত্র বের করে নাইনা কে কোপাতে থাকে। ধস্তাধস্তির মধ্যে নীলিমা দেবী একজনের মুখোশ টেনে খুলে ফেলে ও খুনিকে চিনতে পারে। স্থানীয় বখাটে যুবক এই শেরু খান দীর্ঘদিন ধরে নাইনা কে উত্যক্ত করে আসছিল বলে নাইনার বাবা-মা পরে পুলিশকে জানিয়েছেন। স্ত্রী ও কন্যার উপর হামলার দৃশ্য দেখে বলদেব বাবু ছুঁটে আসেন কিন্তু শেরু খানের দুই সহযোগী আসিফ ও আমীর তাকে জাপটে ধরে রাখে। এভাবে মা-বাবার চোখের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে নাইনা কে খুন করে শেরু খান। মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনি ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পুলিশ তিনজন কেই গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রমতে।

আজ এমন ঘটনা যদি কোনো মুসলিম মেয়ের সঙ্গে ঘটত তবে এই ঘটনাকে মুসলিম বিদ্বেষ বলে প্রচার করা হত এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদের ফলাফল বলে জাহির করা হত। ফেসবুক টুইটারে হ্যাশট্যাগের বন্যা বইত, বুদ্ধিজীবীরা মোমবাতি মিছিল করতেন, বলিউড স্টারেরা অনিরাপদ বোধ করতেন, বিদেশী মিডিয়ার প্রধান শিরোনাম হত, "উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে খুন হতে হল অসহায় মুসলিম যুবতীকে"। কিন্তু আজ আর এর কিছুই হবেনা। আজ এই হত্যাকাণ্ড কে একটি সাধারণ খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হবে। হত্যাকারীদের ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে রাখা হবে। সাফুরার জন্য যারা কেঁদে ভাসিয়েছিলো তারা নাইনার প্রতি এমন চরম অবিচার নিয়ে একটা শব্দও খরচ করবে না। সাফুরা তো অন্যায় করেও গর্ভবতীর দোহায় দিয়ে ছাড়া পেয়ে গেল, তার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখুক প্রার্থনা করি। তবে সাফুরার বেলায় যারা তীব্র প্রতিবাদ করে তাকে ছাড়িয়ে আনলেন তারা একটা ১৯ বছরের নিষ্পাপ মেয়ের খুনের নিন্দা করছেন না কেন? কেমন সেকুলার বা মানবতাবাদী আপনারা তা নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করুন।