Nihar Ranjan's Album: Wall Photos

Photo 5 of 12 in Wall Photos

করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক ChAdOx1 nCoV-19। এবার এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেল।

ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। শুক্রবার বিবিসি রেডিও-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সংস্থার কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট এ কথা জানান।

ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত সাফল্যের প্রায় দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের এ প্রতিষেধকটি। গত ২৩ এপ্রিল মানুষের উপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এ টিকার কার্যকারিতা। ব্রাজিলে চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালে এ বার করোনা হয়নি, এমন ১,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক বেছে নিয়ে তাঁদের উপর অক্সফোর্ডের এ প্রতিষেধকটির ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ হবে। এমনটাই জানিয়েছে ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো।

জুলাই মাসের মধ্যেই মিলবে অক্সফোর্ডের করোনার টিকার চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল। তারপরেই উৎপাদনের গতি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তার জন্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন বা সিইপিআই, গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং আর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা।

প্রথম দুইটি ‘হিউম্যান ট্রায়াল’র অভূতপূর্ব সাফল্যের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্বের সাফল্যের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। ক্রমশ ভয়াবহ হতে থাকা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাই এখন থেকেই টিকা উৎপাদনের কাজ প্রাথমমিকভাবে শুরু করে দিচ্ছে সংস্থা। পরে জুলাই মাসে চূড়ান্ত পর্বের ফলফল জানার পর টিকার উৎপাদন বাড়ানো হবে।

সংস্থা জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এই প্রতিষেধকের অন্তত ২০০ কোটি ডোজ বিশ্ব বাজারে আনার লক্ষমাত্রা সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।