tarun malakar's Album: Wall Photos

Photo 21 of 265 in Wall Photos

গতকাল ৯ জুন ২০২০ তে "প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আ্যক্ট" এর অধীনে গঠিত বিশেষ ন্যায়ালয় আদেশ দিয়েছিল নীরভ মোদীর ১৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য।

আজ ১০ই জুন ই.ডি হংকং এ এক লজিস্টিক কোম্পানির অধীনে থাকা একটি গোডাউন থেকে পালিশ করা হিরে, মুক্তো এবং মুক্তো আর রুপোর গয়না মিলিয়ে নীরভ মোদী ও মেহুল চোকসির ১০৮ টি কনসাইনমেন্ট বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। যার ভারতীয় মুদ্রায় বাজারমূল্য প্রায় ১৩৫০ কোটি টাকা। সময়ের ব্যবধান ২৪ ঘন্টা।

প্রসঙ্গত, সকলেই মোটামুটি জানেন যে অপরাধীর বিচার এবং শাস্তিদানের প্রক্রিয়া আমাদের দেশের আইনব্যবস্থা অনুযায়ীই দীর্ঘসূত্রতার শিকার। আজমল কাসভের ফাঁসিই হোক বা নির্ভয়ার ধর্ষক/হত্যাকারী দের শাস্তি। একরাতে কোনটাই হয়নি সেই কারনেই। অগত্যা সরকারের সদিচ্ছাটাই মূল বিবেচ্য সাধারন মানুষের কাছে। প্রতিটা রাজনৈতিক বিরোধীদলও সেটা খুব ভাল করেই জানে। কিন্তু মোদীজীর বিরোধীতা করতেই হবে। তাই সেগুলো বেমালুম চেপে যায়। কারন জনসেবার নামে নিজেদের আখের গোছানো বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৪ থেকেই। খুব কষ্টে আছে জনসেবার ধাপ্পা দিয়ে আখের গুছোনোর দোকান চালানো বিরোধীপক্ষের লোকজন। কাজেই যেনতেনপ্রকারেন মোদীজীকে ক্ষমতা থেকে সরানোই এদের একমাত্র লক্ষ্য। প্রতিবার এদের প্রোপাগান্ডা ধরা পড়ে যায়। প্রতিবার নিজের থুতু চাটতে হয়। কিন্তু, কিন্তু, ওই যে দোকান বন্ধ হয়ে যাবার দুঃখ। কাজেই ফ্যাসিবাদী মুদী নিপাত যাক বলতেই হবে এদের।

প্রসঙ্গক্রমে নীরভ মোদীর বিচার প্রক্রিয়া চলার সময় ওনার হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা এবং মুম্বাই হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভয় থিপসের ইউ.কে এর কোর্টকে দেওয়া বয়ানটাও মনে করিয়ে দি আরেকবার। উনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন যে "charges levelled by the Central Bureau of Investigation against Nirav Modi would not stand scrutiny in India." বাংলায় অর্থ দাঁড়ায়, ভারতের আইনব্যবস্থা অনুযায়ী নীরভ মোদীর বিরুদ্ধে আনা সি.বি.আই এর অভিযোগগুলো গ্রহনযোগ্যই নয়।

গণতন্ত্রে শেষ বিচারের ক্ষমতা একমাত্র জনগণের। তাই প্রত্যেককে অনুরোধ, কাক এ কান নিয়ে গেল শুনেই কাকের পেছনে না দৌড়ে আগে নিজের কানে হাত দিয়ে দেখার অভ্যেস করুন। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যিটা জানার চেষ্টা করুন। কারা দেশের প্রকৃত শত্রু সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনাদের বুদ্ধি এবং বিবেচনার প্রয়োগ করুন। দেশকে লুটেপুটে খাওয়া হয়েছে কাদের জমানায় আর রাজনৈতিক মদতে ফুলেফেঁপে ওঠা অপরাধীরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে কার জমানায় সেটা নিজেরা চিন্তা করুন।

প্রত্যেক বিরোধীদলকে মনে রাখার অনুরোধ করবো এক জনপ্রিয় গানের একটি লাইন। "ইয়ে যো পাবলিক হে ইয়ে সব জানতি হে..."। ভবিষ্যতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সততার দিকে আঙুল তোলার আগে এটা খেয়াল রাখবেন।

ই.ডি এর টুইটের স্ক্রিনশট আর কোর্টের আদেশের খবরের লিঙ্ক রইলো। নিজেরা দেখুন। চিন্তা করুন। বিচার করুন।

ভাল থাকবেন সকলে।

ইতি: জনৈক ভারতীয়।