"দৌলত বেগ ওল্ডি" পৃথিবীর উচ্চতম এয়ারস্ট্রিপ। 16614 ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই এয়ারস্ট্রিপ আকসী চীনের গা ঘেঁষে, চীনা লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলের একদম পাশে। 1965 সাল থেকে 2008 সাল অবধি এই এয়ারস্ট্রিপ চালু ছিল না। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক এই এয়ারস্ট্রিপকে কিছুতেই চালু করার পারমিশন দিচ্ছিল না কেন্দ্রীয় সরকার।
শেষে 2008 সালের মে মাসে, ভাইস চিফ অফ এয়ার স্টাফ, এয়ার মার্শাল প্রণব কুমার বারবোরা, সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে না জানিয়েই এটিকে চালু করবেন। প্রচন্ড গোপনতার সঙ্গে সেখানে ল্যান্ড করল AN-32, মিলিটারী ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট।
এবার ভাবুন কি অবস্থায় গেলে, দেশের সেনাবাহিনীকে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে গোপনতা বজায় রেখে এরকম একটা কাজ করতে হয়!
তখন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নাম ছিল এ কে অ্যান্টনি আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। আর দেশটা চালাতো কংগ্রেস। আর কিছু বলার দরকার আছে?
ইস্টার্ন লাদাখে এলএসি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দুরে কর্ণেল চেওয়াং রিঞ্চেন ব্রিজ ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ এ উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, যা দারবুক আর দৌলত বেগ ওল্ডিকে যুক্ত করেছে। এটা স্থলপথে দৌলত বেগ ওল্ডিতে যাওয়ার সময়কে অর্ধেক করেছে। এই ব্রিজ শিয়ক নদী বরাবর সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও উন্নতি এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম যানবাহন ইত্যাদি দৌলত বেগ ওল্ডি অবধি পরিবহনে সাহায্য করবে।
যারা ভাবছেন চীন একাই পরিকাঠামো বানিয়ে গেছে লাদাখ সীমান্ত বরাবর আর ভারতীয়রা বসে ছিলো হাত গুটিয়ে, এই ব্রিজ তার জবাব। এরকমই আরো অনেক পরিকাঠামো আছে যা ভারত বানিয়েছে। আগে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে চীনা ব্রেইনওয়াশ চলতো। যোগাযোগের সূত্র জুড়তে শুরু হলে সেই গ্রাম অবধি পৌঁছে যাচ্ছেন এমনকি লাদাখের সাংসদও!
চীনের ভয় থেকে রাগের সূত্রপাত! অনেকগুলো কারণের মতো একটি কারণ এই ব্রিজ!