24 শে মে নেপালের বিদেশমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন ভারতীয় সেনার সবচেয়ে শক্তিশালী রেজিমেন্ট হলো গুরখা রেজিমেন্ট। তাঁর কথায় স্পষ্ট উসকানি ছিলো যাতে, গোর্খা রেজিমেন্টের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে! এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের বক্তব্য স্মরণীয়। উনি বলেছেন নেপাল নিজের কথা বলছে না! অর্থাৎ অন্য কারো অঙ্গুলিহেলনে চলছে। কার সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না!
নেপাল আর্মি ভারতীয় সেনার কাছেই ট্রেনিং পায়। দুইদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এমনকি নেপালের কম্যুনিস্ট সরকারের অন্যায় আবদারও অনেক সময়ই মেনে নেয় নি নেপালের আর্মি। আজকে যা ঘটনা ঘটেছে সেটি কনফার্ম করেছেন এসএসবির ডিজি কুমার রাজেশ চন্দ্র। তিনি বলেছেন যে নেপালি অঞ্চলের অভ্যন্তরে এই ঘটনাটি ঘটেছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
নেপাল সীমান্তের 16 কিলোমিটার ভিতরে ঘটেছে ঘটনাটি। আসলে ঘটনাটি খামারে কাজ করা কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে এপিএফের ভুল বোঝাবুঝিতে হয়। এখন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে কম্যুনিস্ট থেকে শুরু করে সব দেশবিরোধী লোকজন। এমনকি মুখ খুলেছে "রোবটও"! যে কোনো বিষয়েই কথা বলে না!
ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক আজকের না। মনে রাখবেন ভারতের হৃদয়সম্রাট রামচন্দ্রের হৃদয়ের অর্ধেক জনকপুরীর জানকীর বাড়ি ছিলো আজকের নেপালে। বহু নেপালী ভারতের বাসিন্দা হয়ে গেছেন। বহু ভারতীয় নেপালে থাকেন। এতো দীর্ঘযুগের সম্পর্কে চিড় ধরানোর কম্যুনিস্ট প্রোপাগান্ডা থামাতে পারেন আপনিই। বহু বাঙালিকে দেখছি ফেসবুকে নেপালীদের মুন্ডু চাইছে। সেটা করলেই কিন্তু কম্যুনিস্ট প্রোপাগান্ডা সার্থক হয়ে যাবে। চীন কিন্তু তাই চাইছে।
কেন জানেন? কারণ রামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর কম্যুনিস্ট সরকারের উৎপাত সহ্য করতে চাইছে না। যে সরকার আসলে চীনের কাঠপুতলি ছাড়া কিছু নয়। আজই নেপালের কম্যুনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন নেপালী জনতা। আর আপনি কি চাইছেন ? আপনার বন্ধুর আপনার আত্মীয়ের মুন্ডু?
কম্যুনিস্ট প্রোপাগান্ডাকে সার্থক করবেন না। নেপালী জনগণ কিন্তু আমাদের আত্মীয়। অবিশ্বাসের পরিস্থিতি তৈরি হলে কিন্তু জিতে যাবে চীন।