এই মেয়েটি হলেন #কারিশমা_ভোসলে, তিনি মুম্বইয়ের মানখুড়ের শিবাজি নগর এলাকায় পিএমজি কলোনীতে থাকেন। এই অঞ্চলটি সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য এলাক এবং এখানকার বিধায়ক আবু আজমী।
সরকারী জমিতে এই PMG কলোনির সামনে একটি মসজিদ রয়ে। যেখানে দিনে 5 বার একাধিক লাউড স্পিকারের সাহায্যে প্রচুর জোরে আজান দেওয়া হয়… কলোনির লোকেরা এতে প্রচুর বিরক্ত ছিল। লোকেরা ঘুম ও শান্তি হারিয়েছে .. কারোর সাহস হয়নি যে গিয়ে মসজিদের লাউডস্পিকারের আওয়াজ কম রাখার জন্য কারও কাছে অনুরোধ করবে।
এই মেয়েটি ছাত্রী। এই কলোনীতে এর জানালার সামনে চিকে ফোঁরাফুরি করে লাউডস্পিকার লাগানো ছিল। এই সাহসী মেয়ে অবশ্যই প্রথমে কলোনির পুরুষ দের মসজিদের লাউডস্পিকারের শব্দ কমানোর জন্য অবশ্য বলেছিল ... তবে কোন কাপুরুষের সাহস হয়নি .... মসজিদে গিয়ে ভলিউম কম রাখার অনুরোধ জানাতে ...
আজ এই সাহসী মেয়ে কারিশমা ভোঁসলে নিজেই একা মসজিদে পৌঁছে তার বক্তব্য রেখে দৃরতার সাথে। মসজিদে কিছু গুন্ডা কারিশমা ভোঁসলেকে হুমকি দেওয়া শুরু করে… .পরে বরখা পরা মহিলারাও ধমকাতে লাগে। কয়েক ডজন ধর্মপ্রাণ লোক চারপাশে এসেছিল… কিন্তু করিশমা ভোঁসলে সরাতে পারেনি… সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য রেখে যা।
অবশেষে পুলিশ পৌঁছে কর্শমা ভোঁসলেকে থানায় নিয়ে এলেন যাতে এলাকার উত্তেজনা কমে যায়।
থানায় পুলিশি কারিশমা কে বলেছে যে তারা অসহায় নিরুপায় যে "এই ক্ষেত্রে পুলিশ কিছু করতে পারেব না ... তাই কারিশমা ভোঁসলে বাড়ি চলে যাওয়া উচিত" ..
স্থানীয় বিধায়ক আবু আজমিও এই বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং বলেছে যে যদি কর্শমা ভোঁসলে ও তার পরিবার আজানের তীব্র কণ্ঠে সমস্যা হয়ে থাকে, কারিশমা ভোঁসলে পরিবার মনখুরদ ছেড়ে চলে যাক .... আজান এভাবেই চলবে। "
কারিশমা ভোঁসলে .... শিবাজি রাজের বংশধর ... তবে কীভাবে একা একা এত বড় সংগঠিত, রাজনৈতিক ... শক্তি মোকাবিলা করবে ?
কারিশমা ভোঁসলে অবশ্যই সাহসী কাজ করেছেন… .কিন্তু আমরা কি একজন মহান পুরুষের এই কন্যার সুরক্ষা এবং প্রতিপত্তি রক্ষা করতে সক্ষম হব ?