সেই ১৬ বছর বয়সে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৩১ বছরের প্রেমিক গণপত রাও ভোঁসলের সঙ্গে। বিয়ের পর প্রেমিক হয়ে গেলো অত্যাচারী, মদ্যপ। দিনে চারটে লোকের বাড়িতে রান্না করে ছেলেমেয়ে মানুষ করেন, নিজে চালিয়ে যান গান। গান ছাড়া আপনার প্রিয় নেশা রান্না, তা ওই পুরোনো অভ্যাস থেকে। একবার বলেওছিলেন, "গায়িকা না হলে আমি শেফ হতাম।"
অত্যাচার সীমা ছাড়ালে স্বামীকে ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে যখন সংসার ছাড়েন, তখন আপনি অন্তঃস্বত্তা। তবু ভোঁসলে পদবি ছেড়ে আবার মঙ্গেশকর হতে চাননি ।
তাতেও কি যন্ত্রণা কমেছে আপনার ?
সুরকার ও পি নায়ারের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, ভেঙেছে। দিদি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তিক্ত হয়েছে সম্পর্ক।
রাহুলদেবের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছেন, শেষ দিকে আগের মতো সম্পর্ক মধুর ছিল না। রাহুল থাকতেন আলাদা।
২০১২ সালে আপনার সাংবাদিক মেয়ে বর্ষা আত্মহত্যা করে অবসাদ থেকে।
২০১৫ সালে ছেলে হেমন্ত মারা যায় ক্যান্সারে, আপনি তখন সিঙ্গাপুরে শো করছেন। ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক শেষ দিকে ভালো ছিল না, ওর বউকে কেন্দ্র করে।
এত ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি সহ্য করে জনসমক্ষে যখন আজও আপনি গান করেন, মনে হয়, কোটি টাকার ঝাড়বাতি জ্বলে উঠলো সুরে, প্রাণশক্তিতে। এত প্রাণশক্তি কোথায় পান ? নিশ্চয়ই ‘জীবন গান’ থেকে। যে গানে গলা একবার তারসপ্তকে ওঠে, একবার নামে। একবার সুখ হাসে, একবার যন্ত্রণা এসে হাজির হয়। একদম আপনার জীবনের মতো।
আর একাকিত্ব ? সেতো আপনি লাখো মানুষের মাঝে থাকলেও অনুভব করতে পারেন .... যদি সেটাই হয়ে থাকে আপনার নিয়তি !
***************************************
লেখা ও ছবি বীরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী থেকে প্রাপ্ত