১) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিটিশের পতাকা ইউনিয়ন জ্যাককে স্যালুট না করায় কিছু ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন। এই ঘটনাটির উল্লেখ আছে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে শুধুমাত্র সিপিয়াই নেতা গৌতম চ্যাটার্জির 'স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ছাত্রসমাজ' বইতে। তথ্যের সমর্থনে কোন সংবাদপত্রের সোর্স নেই। গৌতম মাকুর লেখা চোখ বুঝে বিনা প্রশ্নে না মেনে বেয়াদপের মত 'স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে এরকম মারাত্মক ঘটনা কেন তৎকালীন কোন জাতীয়তাবাদী সংবাদপত্র ছাপল না' এসব অকিঞ্চিৎকর প্রশ্ন তুললে আপনি অশিক্ষিত গোমূত্রখোর চাড্ডি।
২) সুভাষ বসু ছিলেন নেতাজী। তিনি কোন পাড়ার লাল্টুদা মার্কা নেতার সাথে হাতাহাতি করার মতো বান্দা ছিলেন না। গৌতম মাকুর বই অনুসারে শ্যামাপ্রসাদকে সুভাষ বসু পেটাবার জন্য ছেলে পাঠিয়েছিলেন(এই তথ্যেরও কোন সংবাদপত্রের সোর্স নেই)। অর্থাৎ মানুন ছাই না মানুন, শ্যামাপ্রসাদ যথেষ্ট বড় মাপের নেতা ছিলেন এবং তার জনভিত্তি কম কিছু ছিল না। 'বঙ্গ রাজনীতির এহেন দুই মহারথী নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করছেন এবং কোন সংবাদপত্র ফলাও করে তা ছাপছেনা' এসব প্রশ্ন বেয়াদপের মত জিজ্ঞেস করলে আপনি আবার চাড্ডি। (এবার সিপিএমের আইটিসেল এই পোস্টটা দেখার ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটা নিখুঁত ফটোশপের কাজ করা ৮০ বছরের পুরানো অমৃতবাজারের কাটিং না বের করলে আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে যাব)।
যাই হোক সিপিএমের আইটি সেল যতক্ষণে ফটোশপ করছে ততক্ষণে আপনাদের অতি সম্প্রতি আনন্দবাজারে প্রকাশিত হওয়া একটি খবরের স্ক্রিনশট দেখাই। 'বাঘের ঘরে গরু জন্মানো', 'ব্রিটিশের দালাল' শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুর সংবাদ শুনেই বাঙালি জনতা কিরকম স্বতঃস্ফূর্তভাবে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করেছিলেন ও তাঁর বাসভবনের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন সেই খবর। মস্তিষ্ক বন্ধক দিয়ে না থাকলে বাকি বিচার করার দায়িত্ব আপনার।
মূল খবরের লিঙ্কঃ https://www.anandabazar.com/editorial/the-bjp-has-not-got-any-big-icon-name-in-bengal-now-1.1161204