Sanjoy Dey's Album: Wall Photos

Photo 32 of 81 in Wall Photos

।। #নাগরিকত্ব #সংশোধনী #আইন #ও #কিছু #তথ্য ।।

বর্তমানে আফগানিস্তানে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা 0.02% । যেখানে 1970 সালে হিন্দু ছিল, 7.7 লাখ, 2017 সালে মাত্র 7000 - এ । তারা গেল কোথায় ?
পাকিস্তানে 1947 সালে হিন্দু ছিল 15%, অথচ 1998 সালে সেই সংখ্যাটি 1.6% - এ ! আর এদিকে বাংলাদেশের 1951 সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল 22% , আর 2011-তে 9.5 - !
এই কারনেই " নাগরিকত্ব সংশোধনীয় আইনের " একান্তই প্রয়োজন ছিল, যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেইসব উদ্বাস্তুদের সন্মানের সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দিতে চেয়েছেন, এবং বাস্তবে রুপ দিয়েছেন ।

নেহেরু ও লিয়াকত চুক্তিকে খণ্ডন করে পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর লাগাতার-বিরামহীন অত‍্যাচার চালিয়েই চলেছে । যার ফলে 1947 -এ হিন্দু জনসংখ্যাকে 15% থেকে নামিয়ে এনেছে 1% - এ ।

বাংলাদেশে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিকে খণ্ডন করে চলছে বিরামহীন অত‍্যাচার । 1951 সালের 22 শতাংশ হিন্দুকে 2011 সালে 8.5- এ নামিয়ে দিয়েছে ।
বাংলাদেশের একটা চিত্র দেখুন -----
সাল মুসলিম হিন্দু
1951 76.9 22
1961 80.4 18.5
1974 85.4 13.5
1981 86.7 12.1
1991 88.3 10.5
2001 89.7 9.2
2011 90.4 8.5
অর্থাৎ, এই সংখ্যা এটা প্রমাণ করে দিনের-পর-দিন তারা হারিয়ে গেছে । আপনারা কি জানেন, তারা কোথায় ?
দেশ ভাগ করেছিল স্বার্থাম্বেষীরা, কিন্তু এদের অপরাধ কি ছিল ? ভারতবর্ষে কোনও নির্বাচিত সরকার এদের পক্ষে মুখ খুলেনি কোন যুক্তিতে ? কেন তাঁদেরকে স্বাধীনতার 72 বছর পরেও অত‍্যাচার সহ‍্য করতে হচ্ছে, বর্তমানে যার অধিকাংশ SC.ST ?

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজন নেই ? একমাত্র নিম্নমানের মানসিকতাসম্পন্ন ব‍্যাক্তিরাই এর বিরূদ্ধাচরণ করবে ।
এই আইনের ফলে এই তিনটি দেশের ধর্মীয় কারণে যাঁরা অত‍্যাচারিত হয়ে ভারতবর্ষে আশ্রয় নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন , তাঁরা পূর্ণ সন্মান এবং আত্মমর্য‍্যাদার সঙ্গে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন ।

প্রশ্ন হলো শরণার্থী কাদেরকে বলা যাবে ?
----------------------------------------
1941 সালের জেনেভা কনভোকেশন ও 1967 সালে উরুগুয়ে প্রটোকল অনুসারে উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর সংজ্ঞা দিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক দপ্তর " ইউনাইটেড নেশনস্ হাই কমিশন অফ রিফিউজিস " বা UNHCR ।

বলা হয়েছিল -" যদি কোনো দেশের কোন মানুষ জাতি, ধর্ম, রাষ্ট্রীয়তা, সামাজিক বা রাজনৈতিক কোনো বিশেষ দলের সদস্য হওয়ার জন্য নিজের দেশে অত‍্যাচারিত হন এবং গভীর ভয়ের জন্য দেশে ফিরতে না চান, তবে ঐ মানুষটি দ্বিতীয় বা আশ্রয়দাতা দেশে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হিসেবে গণ‍্য হবেন । "

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019-এ পরিস্কার জানানো হয়েছে, -
* আফগানিস্তান, পাকিস্তান , বাংলাদেশের সংখ‍্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খৃষ্টান নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন ।
* কেন্দ্রীয় সরকার বা তার দ্বারা নিযুক্ত কোন কতৃপক্ষ একটি আবেদনের ভৃত্তিতে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট দেবেন ।
* আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং লোকসভায় বলেছেন, রেশন কার্ড থাকুক-বা-না-থাকুক কোনো সমস্যা নেই । যে সংখ‍্যালঘু শরনার্থীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারাই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
* ভারতবর্ষে অবৈধভাবে থাকার কারণে কোনও ব‍্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চালু থাকলে তা বাতিল হয়ে যাবে,- নাগরিকত্ব পাওয়ার সাথে-সাথেই ।
* যে শরনার্থীরা অবৈধভাবে থাকার সময়ে জমি-বাড়ি কিনেছেন, চাকরি করেছেন বা অন্য কোনো অধিকার ও সুযোগসুবিধা ভোগ করে আসছেন, সেগুলি থেকেও বঞ্চিত হবেন না ।
* এছাড়াও স্বাভাবিক নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ভারতে বসবাসের মোট সময়কাল 11 বছরের পরিবর্তে 5 বছর করা হয়েছে ।

আমার বিশ্বাস, বাঙালি হিন্দু শরণার্থী বা উদ্বাস্তুরা বৈধ নাগরিকত্ব পেয়ে আত্মমর্য‍্যাদা ও স্বাভিমানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে এদেশে বসবাস করবেন । কোনও সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের দাস হয়ে থাকতে হবে না । নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে 31 শে ডিসেম্বর 2014 পর্যন্ত ভারতে আসা সমস্ত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছে ।

গান্ধী 1947-এর 26 সেপ্টেম্বর প্রার্থনা সভায় বলেছিলেন,--" পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখ অবাধে ভারতে আসতে পারেন, যদি তারা ওদেশে বসবাস না করতে চান । সেই পরিস্থিতিতে, তাঁদের চাকরির ব‍্যবস্থা করা এবং জীবনকে বাসযোগ‍্য করে তোলা ভারত সরকারের কর্তব্য । "

তাহলে অসুবিধা কোথায় ?
বিলের কোথাও লেখা নেই, - কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা । ভারত ভাগ হয়েছিল কিসের ভিত্তিতে ? এতো-এতো সাধারণ মানুষের মর্মান্তিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে ?
যাঁরা খোঁজ-খবর রাখেন তারা জানেন, ভারত ভাগ এড়ানো যেতো ।

এই বিলের বিরুদ্ধেও " আন্দোলন " হয় ?

- হে ইশ্বর !
কি বিচিত্র এই দেশ ।
।।জয় শ্রী রাম।।
।। ভারত মাতা কি জয় ।।