Avijit Sarkar's Album: Wall Photos

Photo 16 of 28 in Wall Photos

বাংলা-সহ ৪ রাজ্যে অবস্থা ‘খুব খারাপ’, ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

চার রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো সম্পর্কে জানাতে হবে।

চার রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির ‘ভয়াবহতা’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার পত্রিকা
নয়াদিল্লি ১২, জুন, ২০২০

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড চিকিৎসা এবং কোভিডে মৃতদের নিয়ে চরম অব্যবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য শীর্ষ আদালতের মূল নিশানায়। তবে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে রাজধানী দিল্লি। হাসপাতালগুলিতে  কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা কী ভাবে চলছে, পরিকাঠামোর অবস্থা কী— এ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট-সহ হলফনামা জমা দিতে বলা হল পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু সরকারকে। স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও।
বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিল দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রসঙ্গে তিন বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পশুদের চেয়েও খারাপ ভাবে দেখা হচ্ছে! জঞ্জালে মৃতদেহ মেলার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।” রাজধানীতে করোনা পরীক্ষার হার কমা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। জানতে চেয়েছে, “চেন্নাই এবং মুম্বই যদি দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করতে পারে, দিল্লিতে কেন তা সাত হাজার থেকে কমে পাঁচ হাজার হল?” এ বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক প্রায় সাড়ে ন’হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
একটি সুয়োমটো মামলার প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের উল্লেখ করে এদিন সর্বোচ্চ আদালত দিল্লির হাসপাতালগুলিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা এবং করোনায় মৃতদের দেহের প্রতি অসংবেদী আচরণ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাব এবং কর্তৃপক্ষের গয়ংগচ্ছ মনোভাবকে দুষে সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘রোগীরা যন্ত্রণার কাঁদছে, কিন্তু তাদের দেখার কেউ নেই। এ রকম চলতে থাকলে আপনাদের হাসপাতালগুলিতে তো দ্রুত বেডগুলি খালি হতে থাকবে (রোগীদের মৃত্যু বাড়বে)।’ গাদাগাদি করে মৃতদেহ ফেলে রাখার মতো প্রসঙ্গও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে। বলা হয়েছে, ‘বহু ক্ষেত্রে করোনায় মৃতের পরিজনদের সরকারের তরফে খবর দেওয়া হয়নি এবং তাঁরা নিকটজনের শেষ দেখা পাননি।’ কেজরীবাল সরকার এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মানছে না বলেও মন্তব্য করেছে বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ। এদিন শুনানিপর্ব চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা স্বীকার করে নেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যে সব ছবি সামনে এসেছে তার অনেকগুলি খুবই ভয়াবহ।’