Mukherjee Tapas 's Album: Wall Photos

Photo 103 of 263 in Wall Photos

[[অভিমন্যুর সৎসাহস ও বীরতা]]

যে দৃশ্য দেখার পর চোখের জল ধরে রাখা যায় না,,,,
,,,,,,,,গুরু দ্রোণ অভিমন্যুর বুকে তীর নিক্ষেপ করার পর,অভিমন্যু নিজের হাতে তীরটা বের করে নিল, আর বলল অজুর্নের পুত্র আমি গুরুদেব, যার তীর পিতামহ ভীষ্ম কে ও শরশয্যা দিয়েছে,এত সহজে আমার মৃত্যু হবে না।তখন গুরু দ্রোণ আবার তীর নিক্ষেপ করল,এবার ও নিজের হাতে তীর টা বুক থেকে বের করে নিল।তখন অশ্বথামা, দু:শাসন, শকুনি তিনজনে অভিমন্যুর পিঠে তীর নিক্ষেপ করলেন,অভিমুন্য মাটিতে পড়ে গেল ।একটা একটা করে তিনটা তীর পিঠ থেকে বের করে নিয়ে আবার উঠে দাঁড়ালো এবং গুরু দ্রোণের হস্তে তীর নিক্ষেপ করল,তীর নিক্ষেপ করে ফেলে দিল শকুনির ধনুক। এইটা দেখে দুর্যোধন বলল কর্ণকে মিত্র এই বালকের ধনুক ফেলে দাও।

কর্ন: না মিত্র ও আহত হয়ে আছে আমায় ওকে বধ করতে দাও। ওর পীড়ার সমাপ্তি ঘটাতে দাও।

দুর্যোধন: এখন ও এই বালককে পীড়া দিলামি বা কোথায় এখন তো ২-৪ টি ক্ষত করেছি মাত্র।

(ক্রোধানিত হয়ে বলল এবার)মিত্র কর্ন ফেলে দাও এই বালকের ধনুক।

তখন কর্ণ অভিমন্যুর পায়ে তীর নিক্ষেপ করল,অভিমন্যু মাটিতে পডে গেল, তীর টা পডে গেল হাত থেকে,তখন ও অভিমন্যু নিজ হাতে তীর টা বের করে নিল।

দুর্যোধন: মামাশ্রী এই বালকের হস্ত অস্ত্র ওঠানোর জন্য নয়,প্রাণের ভিক্ষা চাওয়ার জন্য ওঠা চাই।

তারপর শকুনি, অশ্বথামা, দু:শাসন একসাথে গেল আহত অভিমন্যুকে আক্রমণ করতে,কিন্তু অভিমন্যু তারপর ও তলোয়ার নিয়ে রুখে দাঁড়াল তিন জনের সাথে,, তারা কেউ পেরে উঠছিল না অভিমন্যুর সাথে, এমন সময় শকুনি পিছন থেকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করল অভিমন্যুকে।
মাটিয়ে ধরাসায়ী হল অভিমন্যু, কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার রথের চাকা নিয়ে উঠে দাঁড়াল অভিমন্যু তিন জনের সাথে আবার ও যুদ্ধ করতে লাগল এমন সময় শকুনি আবার ও পিছন থেকে ছুরিঘাত করল আর পীড়া দিতে লাগল।

দুর্যোধন: সিংহের শক্তি দেখার ছিল না এবার
দেখলে,এইবার নিজের মৃত্যু ভিক্ষা করে পীড়ার সমাপ্তি ঘটাও,নিজের অস্ত্র ত্যাগ করে আমার শরনাগত হও, আমি তোমাকে মৃত্যু দান দিয়ে দেব, চলে আসো।

অভিমন্যু: আপনি একে পীড়া বলছেন তাতশ্রী, আমি তো ভাবলাম মামাশ্রী স্নেহবশত আর্শীবাদ দিচ্ছেন।

দুর্যোধন: আর্শিবাদ তো এবার আমি তোমাকে দিব বালক, এই বালককে এইবার এমন পীড়া দাও সামনে অবস্থিত পান্ডবদের চোখে যেন রক্তের অশ্রু বয়,,এর চিৎকার শুনে শিবিরে উপবিষ্ট মাতাদের হৃদয় যেন বিদীর্ণ হয়।

তারপর দুর্যোধন গিয়ে আবার পীডা দিতে লাগল আহত অভিমন্যুকে আর বলল নিজের মৃত্যু ভিক্ষা চাও বালক,তোমার তাতশ্রীর হৃদয়ে বহুত করুনা আছে।

অভিমন্যু: সত্যি বলছেন,তাতশ্রী যুধিষ্ঠির এর হৃদয়ে বহুত করুণা রয়েছে, যদি করুনার শিক্ষা নিতে হয় তবে চেয়ে নিন ওনার কাছে।

দুর্যোধন: :এইবার আমি তোমায় করুণার পরিচয় দেব, এই বলে দুর্যোধন,দু:শাসন,শকুনি, অশ্বথামা চার জন মিলে পীড়া দিতে লাগল অভিমুন্যকে।তখন কর্ণ বলল এবার এ বালক কে মৃত্যু দিয়ে দাও মিত্র,

দুর্যোধন: না মিত্র, এখনো এ বালক একবার ও মৃত্যু ভিক্ষা চায় নি,আর এইটুকু বালক আমার সামনে হাসতে হাসতে মরে যেতে পারে না।

তারপর সবাই মিলে পীড়া দিতে লাগল আহত অভিমন্যুকে,,যে দৃশ্য দেখার পর সহ্য করাটা অনেক কঠিন।তারপর ও অভিমন্যু হার স্কীকার করে নি।

অভিমুন্য : তাতশ্রী, কাকাশ্রী আমার পিতাকে বলবেন আমি ওনার নাম কল্ককিত হতে দেই নি, আর মাতাকে বলবেন আমি মৃত্যুকালে ও পরাজিত হই নি।

তারপর কর্ণ আর অভিমন্যুর পীড়া সহ্য করতে না পেরে তলোয়ার নিয়ে দুর্যোধনের কথা উপেক্ষা করে অভিমুন্যর কাছে গিয়ে অভিমন্যুকে জডিয়ে ধরল, আর বলল এবার সময় হয়ে গিয়েছে স্বর্গ অভিমুখে প্রস্থান করার পুত্র।বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা না আমি হব না অর্জুন, তা তুমি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলে পুত্র। আমি তোমার উপর গর্বিত পুত্র।
এই বলে কর্ণ অভিমন্যুকে তলোয়ার দ্বারা বধ করে।

দুর্যোধন:এখনো সূর্যাস্ত হয় নি অভিমন্যুকে মৃত্যু কেন দিলে?

কর্ণ:সূর্যাস্ত হয়ে গেছে, অভিমন্যুর মত একজন মহারথীর মৃত্যুর সাথে সাথে সূর্যাস্ত হয়ে গেছে।
হেরে ও হারল না, মরে ও যে অমর সেই বীর অভিমন্যু,,