# ইন্দিরাগান্ধীর দশহাজার হিন্দু সন্ন্যাসী হত্যা##
যা অজানা অনেকের কাছেই,১৯৬৬ সালে গোহত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হাজার হাজার সন্ন্যাসীদের ইন্দিরা গান্ধী(খান) নির্দেশে গুলি করে হত্যা করে,.সেই ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল জনসাধারণের কাছ থেকে।।পড়ুন হিন্দু বিরোধী ইন্দিরা গান্ধীর নৃশংসতার কথা।।।ইন্দিরা সরকার প্রথম থেকেই হিন্দুধর্ম ও হিন্দুদের অপছন্দ করতো।তবে সামনা সামনি বিরোধীতা না করতে পারলে পেছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি।গোরক্ষা মহা অভিযান সমিতি তৎকালীন মন্ত্রীদের মধ্যে একজন,এবং লেখক আচার্য মোহনলাল রামরঙয়ের মতে,.. ইতিহাস বিবরণী"৭ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে" সকাল আটটার সময় থেকে সাংসদ ভবনের বাইরে লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করে ওই সময় কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষ অষ্টমী তিথি ছিল,যা গোপাষ্টমী নামে পরিচিত, গোরক্ষা সমিতির সঞ্চালক "সনাতন করপাত্র মহারাজের" নেতৃত্বে জগন্নাথ পুরি, জ্যোতিষপীঠ, দারকা পিঠের শংকরাচার্য,বল্লভ সম্প্রদায়, রামানুজ সম্প্রদায়, মধ্য সম্প্রদায়(বর্তমানে গৌড়িয় মঠ ও ইসকন), রামানন্দ আচার্য, আর্য সমাজ, নাথ সম্প্রদায়,জৈন, বৌদ্ধ, আরও হাজারো সম্প্রদায়, নাগা সন্ন্যাসী, পন্ডিত লক্ষীনারায়ণজী চন্দন তীলক লাগিয়ে সবাইকে নিয়ে লালকেল্লা মাঠের থেকে শোভাযাত্রা আরম্ভ করেন যা পাবড়ী বাজারহয়ে পটেল চকের পাশ হয়ে সাংসদ ভবনের দিকে রওনা দেয়। রাস্তার উপরে সাধারন জনগন ফুল বৃষ্টি করতে থাকে অলিতে গলিতে ফুলের চাদর বিছিয়ে দিয়েছিল। আচার্য সোহনলাল রামরঙয়ের মতে এ ছিল হিন্দু সমাজের ঐতিহাসিক দিন ছিল। সাংসদ ভবন থেকে চাঁদনি চক পর্যন্ত মাথা আর মাথা দেখা যাচ্ছিল। ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েতহয়েছিল এর মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছিল। এদের দাবী ছিল সারা ভারতে গোহত্যা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেদিন"ইন্দিরা গান্ধী(খান) এই ভারতীয় হিন্দুদের কথায় কান না দিয়ে,হাজার হাজার অস্ত্রধারী পুলিশকে দিয়ে এলো পাথারি গুলিবর্ষণ করায়,এতে আনুমানিক "১০ হাজার সাধু সন্ন্যাসীর মৃত্যু হয়। যারা আহত এবং যাদের শরিরের মধ্যে অল্প প্রানের স্পন্দন ছিল তাদেরকেও মৃতদের সাথে লরি বোঝায় করে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেওয়া হয় আবার অনেক কে নদিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। লোক প্রকাশ্যে বলা হয় দশ বিশজন মারা গেছে। ১ লক্ষ মানুষকে জেলে ভরা হয়। শুধুমাত্র শংকরাচার্য কে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলের ভেতর ঠান্ডা লাগার জন্য উলংঙ্গ নাগা সন্ন্যাসীরা জেলের জানলা দরজা ভেঙে আগুন পোহাতে থাকে, কয়েক লরি জ্বালানি কাঠও এনে দেয় জেল কতৃপক্ষ। পরে ইন্দিরার নির্দেশে সম্পূর্ণ নির্দোষীদের দোষী বানিয়ে পদত্যাগ করানো হয় গৃহমন্ত্রী"গুলজারি লাল"কে,. পরবর্তীকালে কোনোদিন এই গৃহমন্ত্রীকে আর কোনও পদে বসান নি।এর একমাস পর হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রবল চাপেবন্দিদের ছাড়তে বাধ্য হয় ইন্দিরার সরকার।সেই দিন সাধু সন্ন্যাসীদের বক্তব্য ছিল " এইকংগ্রেস সরকার বাইরের সরকার এদের মন্ত্রী থাকার আর নাই দরকার, সাংসদ ভবনের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে এসো দেশদ্রোহীদের।। (দেশের বাইরের সরকার আর এরা সত্যিই দেশের স্বার্থেভাবে না তার প্রমাণ পেলাম এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে,সে নাকি বলে কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়,ভারত বলপূর্বক দখল করে রেখেছে)কি ভাবে পদলোভী বেইমান ইন্দিরা গান্ধী(খান) হিন্দুদের উপর চরম নির্যাতন চালিয়েছে তা এখনকার যুব সমাজ জানেই না। এরকম কত শত নির্যাতনের ঘটনা দাবিয়ে রেখেছে কংগ্রেস তার ক্ষমতাবলে তার ইয়ত্তা নেই।।তখন থেকে আজ পর্যন্ত গোহত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। জানি না, কবে এই অসহায় হিন্দুজাতির প্রানের আন্দোলন এনে দেবে"বিজয়বার্তা"।কেবল একটা কথাই বলবো, জেগে উঠো হিন্দু যুবকেরা,হিন্দুত্বের জাগরণে।।
জয় শ্রী রাম
# সংগ্রহিত৷