Hira Mh Debnath's Album: Wall Photos

Photo 16 of 63 in Wall Photos

একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন
----------------------------------
আজকের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসটা জানেনা, তাদের অবগতির জন্য বলছি। একটু আগে থেকেই বলি। লন্ডনের একটা বারে রাজীব গান্ধীর সাথে সোনিয়া আন্তোনিয়া মাইনোর পরিচয় হয় ও ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৮ ওদের বিয়ে হয়। সেটা খ্রিস্টান, না হিন্দু, না মুসলিম কোন মতে হয়েছিল জানিনা । এদের প্রথম সন্তান রাহুলের জন্ম হয় ১৩ জুন ১৯৬৮, অর্থাৎ বিয়ের ঠিক ৪ মাস পর। নিন্দুকে বলে, premature বাচ্চা, মস্তিস্ক develop করেনি। যাকগে, এসব আমি বলছি না, কিন্তু ১৯৯১ তে রাজীবের দেহের টুকরো মেলানোর জন্য রাহুলের DNA টেস্ট দরকার পড়েছিল, কিন্তু সোনিয়া কেন সেটা করতে দেয় নি, তা আজও রহস্যাবৃতই আছে।

রাজীব গান্ধীর স্ত্রী হয়ে যখন ১৯৬৮ সালে সোনিয়া মাইনো ভারতে আসে, তখন সেটা একটা সাধারণ ঘটনাই ছিল। এরকম তো কতো মেমসাহেবই বৌ হয়ে ভারতে আসে, কেউ খবরও রাখেনা। আমিও রাখতাম না। ১৯৮৪ সালে খালিস্তানিদের হাতে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর রাজীব দেশের প্রধানমন্ত্রী হয় আর সেখান থেকেই শুরু। ১৯৯১ সালে LTTE র হাতে রাজীব হত্যার পর, "রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন" নাম দিয়ে একটি তহবিল বানিয়ে সোনিয়া অগাধ অর্থ সংগ্রহ করে। এর উদ্দেশ্য অস্পষ্ট, মন্দ লোকে বলে ওতে নাকি বিদেশের ভারত বিরোধীরা টাকা ঢালে। আমেরিকান anarchist জর্জ সোরোস, ভ্যাটিকান থেকে হাইতির তৎকালীন dictator দুভালিয়ার পর্যন্ত । তেরেসা ও সোনিয়া দুজনেই ওদের থেকেই অর্থ পেতো, হিন্দুদের ধর্মান্তকরনের জন্য। ওই তহবিলের বর্তমান কি হাল, জানিনা।

১৯৯৬-১৯৯৮ কংগ্রেসের অধ্যক্ষ ছিল ৮৪ বছর বয়েসী বুকে পেসমেকার বসানো সীতারাম কেশরী (না, ইয়েচুরি নয়)। প্রথম জীবন কাটে কংগ্রেসের তাসা পার্টিতে (কাজ, ঢোল বাজানো)। ১৯৯৮ সাল, আমার স্পষ্ট মনে আছে, কংগ্রেসের সেই সভাঘর, ধবধবে সাদা গদির ওপর ইতস্ততঃ ছড়ানো তাকিয়া (যেন একটা কাবুলি মজলিস), আর ক্যাশবাক্সের মতো কিছু একটার ওপাশে বসে আছে মাথায় সাদা গান্ধী টুপি পরিহিত অধ্যক্ষ বৃদ্ধ কেশরী, সকালে সভা শুরু হলো, দুদিন চলবে। নিয়মমতো, আরো চার বছর ওই পদে কেশরীর থাকার কথা। টিভিতে ঐটুকুই দেখে আমি ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দিতে চলে গেলাম। বিশ্বাস করুন, বিকেলে ফিরে এসে দেখি, ওপাশে কেশরী নয়, বসে আছে নতুন অধ্যক্ষা সোনিয়া মাইনো। আর দেখলাম, বাইরে দাঁড়িয়ে আছে অসুস্থ কেশরী, হাউ হাউ করে চোখের জলে ভেসে কেশরী বর্ণনা করছে কিভাবে সোনিয়া ওকে এইমাত্র "গলাধাক্কা" দিয়ে বের করে দিয়েছে। ক'দিন পরে কেশরী মারা যায়, কেউ দেখতেও যায়নি। সেদিন ওর সাথে ছিল একমাত্র সঙ্গী বিহারের কংগ্রেসি তারিক আনোয়ার। এ দৃশ্য আমি জীবনে ভুলতে পারবো না, সেই মিটিংয়ের পুরোনো ভিডিও থাকলে দেখে নিতে পারেন। এটাই কংগ্রেসীদের দস্তুর। যদি বিজেপিতে এ'রকম হ'তো, তাহলে এরা কি করতো অনুমান করে নিন। তারপর টানা ১৯ বছর ২০১৭ পর্যন্ত এই মহিলা সভানেত্রী, এখন আবার (২০১৯ -), মা বেটা বদলাবদলি করে।

আমি ইতালিতে বহুবার গেছি, দীর্ঘ সময় থেকেছি, ভাষাটাও খুব ভালো জানি। ওরা গর্ব করে বলতো ওদের একটা অতি নগন্য ঘরের মেয়ে ভারতের মতো বিশাল দেশ শাসন করছে। খুব খারাপ লাগতো, কিন্তু বলার কিছুই ছিল না। মণিশঙ্কর আইয়ারের মতো কিছু লোক কেউ জিজ্ঞেস করলেই বলতো "আররে, ইয়ে তো দেশকা বহু হ্যায়, যো মন চাহে, ও হো সকতা হ্যায়!" তারপর ২০০৪ সালে সোনিয়া প্রধানমন্ত্রী প্রায় হয়েই গিয়েছিলো, রাষ্ট্রপতি কালামের সই হওয়ার কয়েক মিনিট বাকি। কিন্তু সুব্রহ্মানিয়াম স্বামী অতি কষ্টে সেটা ঠেকালেন যে সংবিধান অনুসারে বিদেশে যাদের জন্ম তাদের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এই দুটো পদ দেওয়া যাবে না। চরম অবমাননা থেকে দেশ বাঁচলো। এরপর চামচারা মিথ্যে প্রচার শুরু করলো যে উনি নাকি স্বেচ্ছায় পদ "ত্যাগ" করেছেন। কেন করলেন, এর উত্তর অবশ্য মেলেনি।

অবশেষে আমার প্রশ্ন -- হাসবেন না, ধরুন, চীনের সি জিং পিং মুম্বাইতে এসে রাস্তায় হঠাৎ রানু মন্ডলের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে ওকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে গেলো । আর কদিন পরে ওকে চীনা প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দিলো (হিন্দি হরফে লেখা মান্দারিন পড়তো)। চীনারা মেনে নিতো তো? যদি না নেয়, তবে আমরা কেন মেনে নিয়েছি, মায় পুরো সংকর পরিবারটা পর্যন্ত! ছিঃ, তবুও কিছু নির্বোধ হিন্দু এদের ভোট দেয়।
লিখেছেন কমলকান্তি নন্দী।

Copy past.... তবুওনি কিছু লোকের চোখ খুলে দেখি।