আপনি কি জানেন?
প্রাচীন ভারতের মহান হিন্দু রাজা ললিতাদিত্য বিস্তারবাদী চীনকে সুচনীয় ভাবে পরাজিত করেছিলেন :-
মহান হিন্দু রাজা ললিতাদিত্য মুক্তপীডের আমলে চীনের সাথে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল। কট্টর আরবি বিরোধী সম্রাট ললিতাদিত্য বিশাল হিন্দু মহাসনা গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন। আরবিরা বার বার ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে সম্রাট ললিতাদিত্য বিশাল সেনা নিয়ে তাদের ধূলিসাৎ করেছিলেন। খলিফা আল জুনেদ ভারতে প্রবেশ করতে কাশ্মীরে আক্রমন করতে আসে কিন্ত কাশ্মীরে ভারতের সেনা দেখে আল জুনেদের হতভম্ভ হয়ে যায়।
রাজতরঙ্গিনী বইতে লেখা হয়েছে, সিংহের মতো গর্জন করে হিন্দের সেনা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদেশী আক্রমনকারীদের উপর। ললিতাদিত্য এর ভয়ংকর হামলায় আরবি সেনা শেষ হয়ে যায় এবং তাদের সেনাপতিদের বন্দি করে ফেলা হয়। আরবিদের বই তারিখ এ হিন্দ এও একই কথা লেখা হয়েছে। এই সময় চীনের সাথে ললিতাদিত্য এর সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল।
তবে কিছু সময়ের মধ্যেই চীনের অহংকারী রাজা ফ্যাং হং কাশ্মীরে আক্রমন করে। তবে সম্রাট ললিতাদিত্য এর বাহুবলের সামনে চীনের সেনা তুচ্ছ মনে হয়। সম্রাট ললিতাদিত্য ফ্যাং হংকে তিব্বত প্রান্তে হারিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সাথে চীনের বেশকিছু এলকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন। এরপর চীনের রাজার স্বাধীনতার পরিবর্তে প্রতিবছর কর দেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। একই সাথে ভয়ভীতি হয়ে পড়া চীনের রাজাগণ সম্রাটকে বিভিন্ন সময়ে উপহার দিয়েও পাঠাতেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, বর্তমান কাশ্মীরে ভেঙে পড়া বিখ্যাত সূর্য মন্দির উনার আমলেই নির্মাণ করা হয়েছিল। মন্দির নির্মাণ, ধার্মিক উন্নতি, বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য সম্রাট সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন বলে জানা যায়। পুরো ঘটনার বিবরণ আজও চীনে সিক্সটিন কিংডমে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। আজও চীনের লোকজন ভারতের রাজার বীরত্বের গাঁথা পড়ে কেঁপে উঠে। অবশ্য ভারতের ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে সমস্ত বীরগাঁথাকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দাসত্বের ইতিহাস পড়ানো হয়।