Mitrangshu Pinaki
সুপ্রভাত,
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি--- ভাষা দিবস; যে দিনটির জন্য কতই না রক্ত ঝরেছে। স্মরণ করি সেই সংগ্রামীদের--- সেই শহীদদের।
"মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!" সেই সুমধুর বাংলা ভাষা কি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে? চারিদিকে গজিয়ে উঠছে ইংরাজি মিডিয়াম স্কুল---- অন্ধের মতো আমরা ছোট্ট শিশুদের হাতে ধরে ছুটে চলেছি সেই পানে। বড়ই ব্যথা লাগে, যখন দেখি বাঙালি ছেলেমেয়েরা বাংলা পড়তে পারছে না--- লিখতে পারছে না। দুর্ভাগ্যের বিষয় এরা কোনদিনই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মাইকেল, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, অবনীন্দ্রনাথের সাথে পরিচয় ঘটাতে পারবে না--- তাঁদের কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ অনাস্বাদিত-ই থেকে যাবে। বাংলা ভাষার একটা আলাদা মাধুর্য আছে, একটা আবেগ আছে--- তাইতো কত বিদেশী বাংলাভাষার টানে বাংলায় এসেছে, বাংলাচর্চা করেছে--- রবীন্দ্রনাথ পড়েছে, রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুরাগী হয়েছে--- স্বামী বিবেকানন্দ পড়েছে। সুরসম্রাজ্ঞী লতাজী বাংলাভাষায় মোহাবিষ্ট হয়ে সাবলীলভাবে সুমধুর বাংলা গানে ভুবন ভরিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম জীবনে মধুসূদন মাতৃভাষাকে অবহেলা করে ইংরাজি ভাষায় মনোনিবেশ ও লেখালেখি করলেও, সেই ভুল বুঝতে তাঁর দেরি হয়নি। ভুল বুঝতে পেরে তিনি বিলাপ করে বলছেন----
"হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন--
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পরধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।"
এরপর তিনি মাতৃভাষায় মনোনিবেশ করে অনেক কাব্য, কবিতা, মেঘনাদবধ মহাকাব্য, নাটক, প্রহসন রচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন।
আমরা আজ এই অঙ্গীকার যেন করি, আমাদের শিশুরা মাতৃভাষার মাধ্যমেই পড়াশোনা করবে--- পাশে থাকবে ইংরাজি।
আজ আমরা 'ভাষাদিবস' পালনের সাথে সাথে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হোক--- এই কামনাই করি।
Priyanshu Rai
परित्राणाय साधूनां विनाशाय च दुष्कृताम्।
Jayendra singh
(owner)
कोरोना काल में आपकी प्राथमिकता होनी चाहिए की आप कैसे स्वयं को सुरक्षित रख सकते हैं। कोरोना से जुड़ें सभी सुरक्षा नियमों का पालन करें और अपनों से भावनात्मक तरह से जुड़ें रहें।
Rahul Pandey
इस ऐप को अधीक से अधीक लोगों को शेयर करे और फेसबुक को बैन करवाना हैं।
जय भारत