Mitrangshu Pinaki
সুপ্রভাত,
স্মরণ করি, স্বামীজীর শিকাগো বক্তৃতার ফলস্বরূপ--- ভারতবর্ষে প্রতিক্রিয়া।
শিকাগো ধর্মমহাসভায় স্বামীজীর সাফল্যের কথা যখন ভারতে এসে পৌঁছল, গোটা দেশ আনন্দে উত্তাল হয়ে উঠল। একজন ভারতবাসীও যে পাশ্চাত্যবাসীদের কাছে এতটা মর্যাদা পেতে পারে, তা তাদের কাছে কল্পনার অতীত ছিল। তাদের বহুদিনের হীনম্মন্যতা ভেঙে পড়তে শুরু করল। তারা নতুন করে নিজেদের সম্বন্ধে ভাবতে শুরু করল। নিজেদের তারা যত হীন ও অপদার্থ ভেবেছিল, তাহলে তারা তত হীন নয়! ভারতবর্ষেরও তাহলে এমন কিছু আছে, যা জগতের কাছে মর্যাদা পেতে পারে। এর ফলে দেশবাসীর মনে যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠল তার ফল হল চমকপ্রদ। স্বামীজী যখন ১৮৯৭ সালে দেশে ফিরে এলেন গোটা দেশ তাঁকে বীরের মর্যাদা দিল। তিনি ভারতবর্ষকে পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল করে তুলেছেন, দেশবাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদের মাতৃভূমির মহিমময় রূপ। তাই গোটা দেশ আবেগে আনন্দে কৃতজ্ঞতায় তাঁকে নিয়ে মেতে উঠল আর এই উন্মাদনার মাধ্যমেই ভারতের জাতীয় জাগরণের সূচনা।
স্বামীজীর স্বদেশপ্রেমের মন্ত্র এরপর গোটা দেশকে উজ্জীবিত করেছে। তাদেরকে প্রেরণা দিয়েছে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে। গান্ধীজী, অরবিন্দ, সুভাষচন্দ্র প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় নেতাই শুধু নন, সমস্ত স্বাধীনতা-সংগ্রামীই এক সময় স্বামীজীর জীবন ও বাণী থেকে প্রেরণা পেয়েছেন। এমন কোন ভারতীয় ছিলেন না, শিকাগোয় স্বামীজীর সাফল্য-বৃত্তান্তের কথা ভেবে যিনি গৌরববোধ করতেন না। একথা এখনও সমান সত্য।
বস্তুত, শিকাগো ধর্মমহাসভায় স্বামীজীর আত্মপ্রকাশ ভারতবর্ষের নবজাগরণের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আর কোন ঘটনা সমগ্র জাতির আবেগকে এভাবে নাড়া দিতে পারেনি। শ্রীঅরবিন্দ বলেছেন, বিবেকানন্দের পাশ্চাত্য যাত্রা-ই হল প্রথম লক্ষণ যে ভারতবর্ষ জাগছে, জাগছে শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, জয় করবার জন্য। এই জয় অবশ্যই ভৌগলিক জয় নয়। ভারতবর্ষ যদি পৃথিবীকে জয় করে, তবে তা করবে ভাবাদর্শের দ্বারা--- প্রেম, মৈত্রী ও উদারতার দ্বারা। বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতায় তারই সূচনা ঘোষিত হয়েছিল।
Priyanshu Rai
परित्राणाय साधूनां विनाशाय च दुष्कृताम्।
Jayendra singh
(owner)
कोरोना काल में आपकी प्राथमिकता होनी चाहिए की आप कैसे स्वयं को सुरक्षित रख सकते हैं। कोरोना से जुड़ें सभी सुरक्षा नियमों का पालन करें और अपनों से भावनात्मक तरह से जुड़ें रहें।
Rahul Pandey
इस ऐप को अधीक से अधीक लोगों को शेयर करे और फेसबुक को बैन करवाना हैं।
जय भारत