Mitrangshu Pinaki
আমি দৃঢ় ভাবে একটি কথা মন থেকে বিশ্বাস করি যে আলাপন, অভরূপ, হরিকৃষ্ণরা যে ক্ষতি বাংলার করে গেছেন, করে চলেছেন সেটা সম্ভবত মমতাও নিজে করে উঠতে পারেননি ।
বহুদিন ধরে এই কথা বলে আসছি । অনেকে বিশ্বাস করেন না । কিন্তু এটা বাস্তব সত্য । প্রচুর তথ্য হাতে পাই । সময় হয় না লেখার ।
আজ লিখছি কেন ,?
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট হাতে আসার পর আজ আমার সেই কথা আবারও প্রমাণিত হল ।
প্যারা বারোর চার নং পয়েন্টে এই মূর্তিমান লিখেছেন ...
"মহার্ঘ্য ভাতার পরিমাণ প্রদান অথবা নির্ধারণ এবং অথবা বৃদ্ধির উদ্দ্যেশ্যে রাজ্য সরকারকে প্রচলিত সর্বভারতীয় ভোক্তা সূচক মেনে চলতে হবে না ।"
ডি এ মানুষকে দয়ার দান নয়, অধিকার, বারবার কলকাতা হাইকোর্ট এ কথা বলার পরও ২০১৯ এর ১৯ সেপ্টেম্বর এই নোট দিয়ে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন অভিরূপ। চার বছর ৯ মাস বাদে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম এই কাজ নিঃশব্দে করে রেখেছেন অভিরূপ ।
ওদিকে বলা থাক অভিরূপ নিজে আই এস আইয়ের বেতন ভূক হয়ে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের উপভোক্তা হয়ে জীবন কাটিয়ে অবসর নিয়েছেন ।
ইন্টেলেকচুয়াল অর্থনীতিবিদ সেজে এই লোকটি দিনের পর দিন কি সর্বনাশ করেছেন সরকারি কর্মচারীদের, অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীদের কেউ ভাবতেও পারেননি !
দুর্ভাগ্যের, আনন্দবাজার এঁকে দিয়ে পোস্ট এডিট লেখায়। কতটা লজ্জার । আনন্দবাজার ভেবে দেখুক ।
বারবার লিখেছি, আগেও, এঁরা মমতাকে খুশি করার জন্য যে কোন স্তরে নামতে পারেন । এবং বিনিময় মূল্যেটাও এঁরা বিনিময়ে হিসেব মিলিয়ে ভালোভাবে বুঝে নেন ।
আলাপন অবসরের পরও নবান্নের কস্টলি পরামর্শদাতা । নবান্ন ছাড়াও এন কে ডি, হেরিটেজ সব জায়গায় বসে আছেন । পারিবারিক গোছানোর এবং আদায়ের ব্যাপার গুলো লিখলাম না । সৌজন্যের খাতিরে । আফটার অল সহপাঠী ছিলাম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে । কোথাও একটা আটকায় ।
হরিকৃষ্ণ অবসরের পরও আরো একজন কস্টলি পরামর্শ দাতা । নিজের বাড়ি থাকতেও সরকারের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নিতেন । জানাজানি হওয়ায় সেটা ফেরত দিয়েছেন বলে নবান্ন থেকেই জেনেছি । পরামর্শ দাতার বাইরে ষষ্ঠ ফাইন্যান্স কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন,১৭.১১.২৪ থেকে দু বছরের মেয়াদে । দু জায়গা থেকেই সুযোগ সুবিধে ? অনুসন্ধানে আছি । পেলে লিখব ।
অভিরূপ ? যিনি সরকারি কর্মচারীদের , অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীদের এত ভয়ানক ক্ষতি করেছেন, তাঁর কথা ?
একটু লিখি ?
৩০.৪.২০১৩ থেকে ৩০.৪.২০১৪ চতুর্থ ফাইন্যান্স কমিশনের চেয়ারম্যান ( ইয়েস ম্যান) ছিলেন। । তখন তিনি আই এস আইয়ের সঙ্গে যুক্ত ।
এরপর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান । ৬ মাসের কাজ এক্সটেনশনের পর এক্সটেনশন করে ৪৬ মাসে ওপরের এই সর্বনাশের রিপোর্ট পেশ করে ছুটি নিয়েছিলেন ।
ঠিক এর পরই ২৩.৫.২০২২ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ রাজ্য ফাইন্যান্স কমিশনের আবারও চেয়ারম্যান ।
আর এই সময়েই নিজে চেয়ারে থেকে নবান্নের কাজ আউটসোর্স করেছিলেন ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ আর নিজের পূর্বতন কর্মক্ষেত্র আই এস আই-এর ওপর । এবং বলা বাহুল্য কোষাগারের কোটি টাকা পেমেন্ট হয়েছিল এই অন্যায় আউটসোর্সিংয়ে । অথচ নিজেরা সদস্য হয়ে বসে সব সরকারি সুযোগ সুবিধে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিরূপরা ।
ইতিহাস দীর্ঘ । যা খবর নবান্ন সোর্সেই জোগাড় করি লিখলে মহাভারত হয়ে যাবে ।
আপাতত এইটুকুই থাক । শেষে আবার লিখছি অভিরূপ আলাপন হরি ভাইয়েরা রাজ্যের যে অসীম ক্ষতি আজও করে চলেছেন এক কথায় অবর্ণনীয় । সীমাহীন ।
মহাজাগতিক এবং কল্পনারও বাইরে ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
(৯৮৩০৪২৬০৭৮)
Priyanshu Rai
परित्राणाय साधूनां विनाशाय च दुष्कृताम्।
Jayendra singh
(owner)
कोरोना काल में आपकी प्राथमिकता होनी चाहिए की आप कैसे स्वयं को सुरक्षित रख सकते हैं। कोरोना से जुड़ें सभी सुरक्षा नियमों का पालन करें और अपनों से भावनात्मक तरह से जुड़ें रहें।
Rahul Pandey
इस ऐप को अधीक से अधीक लोगों को शेयर करे और फेसबुक को बैन करवाना हैं।
जय भारत