Dey Subhrajit 's Album: Wall Photos

Photo 105 of 250 in Wall Photos

তাজমহল রহস্য

তাজমহল কি হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে?

তাজমহল ভাতের এক ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান এবং আমরা জানি যে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের জন্য এটি তৈরি করেন.. এই তাজমহলেই তাকে মুসলিম ধর্মীয় রিতি মেনে কবর দেওয়া হয়.. এটাই আমরা স্কুলের বইয়ে পেয়ে থাকি.. এটা লিখে পরিক্ষায় পাশও করেছি তাই এর বাইরে কিছু শুনতে পেলে আমাদের তা মানতে বাধে এবং তা এক চক্রান্ত বলে মনে হতেও পারে..এটা হতেই পারে যে চক্রান্ত করা হচ্ছে..কারণ ভারতে সব রাজনৈতিক দল নিজের সুবিধার জন্য ইতিহাস বিকৃত করেছেন কম বেশি.. কিন্তু তার মধ্যে থেকে সঠিকটা আমাদের মানতে হবে প্রমাণ, প্রেক্ষাপট ইত্যাদি বিচার করে.. এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের কৃতদাস হয়ে নয় একজন সুনাগরিক হিসেবে চিন্তা করতে হবে.. তাজমহল নিয়ে এর আগেও লিখেছি আবার সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি..

প্রথমেই বলি তাজমহলে অনেক ঘড় আছে যা কিন্তু তালা দেওয়া আছে কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয় না.. এই ঘড়গুলি খুললে উঠে আসতে পারে অনেক অজানা তথ্য..আমিরা এই ঘড়গুলি ছাড়াই দেখে নিতে পারি যে তাজমহলে হিন্দু ধর্মের কিছু আছে কি না.. ইতিহাসবিদ পিএন ওক কিন্তু অনেক তথ্য দিয়েছেন যাতে প্রমাণ হয় যে তাজমহল আসলে তৈরি করেছিলেন হিন্দু রাজপুত রাজা জয় সিংহ এবং তা ছিল তেজো মহল, শাহজাহান কেবল তা অধিকার করে তা বিকৃত করে নিজের স্ত্রীর কবরখানায় পরিণত করেছে..কিন্তু এই ইতিহাসবিদের কথাই বা কেন বিশ্বাস করবো আমরা? তাই আসুন দেখেনি যা বলা হচ্ছে তা সত্য কি না...

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া একবার তাজমহলের একটি সার্ভে করে.. এই সার্ভেতে গোপন কিছু তথ্য উঠে আসে কিন্তু আজ পর্যন্ত তা গোপন রয়ে গেছে..তবুও ওই সার্ভের কিছু ফটো এবং তথ্য ফাঁস হয়ে যায়..এই সাদা কালো ফটোগুলি এবং তার সাথে থাকা কাগজপত্র থেকে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়.. তাজমহলের সাথে তাজের আদলে আছে আর এক প্রাসাদ যা পশ্চিম দিকে বলে তা মসজিদ এ ব্যপারে কোনও সন্দেহ না থাকবারই কথা..তাজমহল যাকে বলছি তা ৭ তিলা এবং এর মধ্যে ৫টিই তালা দেওয়া আছে.. যা মসজিদ হিসেবে দেখানো হচ্ছে তা তাজের আদলে কেন বানানো হলো তা একটি প্রশ্ন কারণ তাজ তো একটি কবরখানা!! কবরখানা এবং প্রার্থনার স্থান আলাদা রকম হবে এটাই তো স্বাভাবিক.. যাই হোক সেটিও বাদ দিলাম.. এখানে একটি গভীর কুয়ো আছে.. এবং এই কুয়োর চারপাশে অনেক কক্ষ আছে.. প্রমাণ পাওয়া গেছে যে এখানে নানা দপ্তরের কাজ করা হতো.. এখানে প্রচুর পরিমান ধন সম্পদ রাখা থাকতো এবং শত্রু আক্রমণ করলে তা কুয়োর মধ্যে ফেলে তা রক্ষা করার জন্যই এই কুয়ো..আর এই রকম কুয়োই সব প্রাচীন হিন্দু মন্দিরে থাকতো.. তাজমহল অষ্টকোণ হওয়ায় এর হিন্দু যোগ আরো প্রবল হয়..হিন্দু মতে দশ দিকের উল্লেখ করা হয় অনেক ক্ষেত্রে.. অষ্টকোণ আটটি দিকের দিকে ইশারা করে এবং বাকি দুই দিক সর্গ এবং মর্ত...তাজের চারদিকে চারটি মিনার দেখা যায় যা আসলে তাকে প্রহরা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকতো এবং রাতে আলো দেওয়ার কাজেও লাগতো.. এই রকম টাওয়ার অনেক সত্যনারায়ণ মন্দিরে দেখা যায়.. খাজুরাহতেও আপনি তা দেখতে পাবেন..কোনও মসজিদের চুরাতে কোনও মঙ্গল কলস থাকে না কিন্তু তাজে এটি আছে..যদিও শাহজাহান এতে আল্লাহ খোদাই করে লিখে দিয়েছে তবুও তার ছায়া এখনও যখন মেঝেতে পড়ে তা মঙ্গল কলসই দেখায়.. দেওয়ালের অনেক স্থানে পদ্মফুল দেখেও মনে সন্দেহ হয় কারণ পদ্মফুল হিন্দু ধর্মের প্রতীক..নদীর দিকে ২২ টি ঘড় শাহজাহান বন্ধ করে দিয়েছে .. এই ঘড়গুলি থেকে সিরি নদীর দিকে গেছে যা দেখে মনে হয় এগুলি কোনও হিন্দু দেব দেবীর মন্দির..তাজমহলে এক নাক্কারখানা আছে যার মানে সঙ্গীত ভবন.. কিন্তু এ তো মুসলিম ধর্মের বিরুদ্ধে আর তা ছাড়া কবরখানায় মৃত মমতাজকে কে গান শুনাতে চাইবে? মুসলিম ধর্মে প্রার্থনা স্থলে সঙ্গীতালয়ের স্থান না থাকলেও হিন্দু মন্দিরগুলিতে সঙ্গীত চর্চার বা শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল.. আরো একটি বিষয় হলো তাজমহলে ধুতরা ফুল খোদাই করা পাওয়া গেছে এবং তাতে ওম লেখা দেখে মনে আর কোনও দ্বিধা থাকে না যে তাজমহল আসলে শিব মন্দির যার নাম ছিল তেজো মহল..অনেকের মতে মমতাজকে তাজে কবর দেওয়াই হয়নি আগ্রা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দুরে বুরহানপুরে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং শাহজাহান কেবল মাত্র মন্দির ধ্বংস করে দিতে চাইছিলেন বলেই সব প্রমাণ মুছে দিয়েছিলেন..অনেকে বিশ্বাস করেন যে তাজমহলে মমতাজের নকল কবর আছে.. আমরা শুধু এটাই জানি যে শাহজাহান যারা তাজমহল তৈরি করেছিল তাদের হাত কেটে ফেলে দিয়েছিল বাস্তবটা অনেক ভয়ঙ্কর..

মুঘলরা আসলে বাইরে থেকে আসা দস্যু..কত মন্দির যে এরা ধ্বংস করেছে তার হিসেব নেই..কত হিন্দু রাজার রক্তে রাঙা এদের হাত তার হিসেব নেই.. এদের বিরুদ্ধে লড়ে বলিদান দেওয়া রাজাদের কথা চক্রান্ত করে কাউকে জানতে দেওয়া হয়নি.. অবশ্যই আমাদের ক্ষমতা লোভি রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা এর জন্য দায়ী.. তবে দিন পাল্টাচ্ছে তাই সত্য সবার সামনে আসা উচিত..যদি তাজমহল সত্যি হিন্দু মন্দির হয়ে থাকে তাহলে তাকে আবার পূর্ব পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক.. একটি ভাল রাষ্ট্রের পরিচয় হলো ন্যায়ের প্রাতিষ্টা করা..এ ক্ষেত্রে কারো মনে এটা কেন আসবে যে সত্য সামনে নিয়ে এলে কোনও বিশেষ সম্প্রদায় আহত হবেন এবং আইন নিজের হাতে নিয়ে নেবেন তাই সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হোক..ন্যায় প্রাতিষ্টা করতে রাষ্ট্রকে শক্ত হতে হবে..কিন্তু তার আগে সঠিক প্রদ্ধতিতে তদন্ত করে সব সামনে নিয়ে আসতে হবে.. সত্যের জয় হোক..