গুরতেজ সিং,বয়স মাত্র তেইশ বছর। পাঞ্জাবের ঘাতক প্লাটুনের কমান্ডো। 15 ই জুন গালওয়ান ভ্যালিতে চীনা সেনারা যখন 16 বিহার রেজিমেন্টের সেনাদের ঘিরে ফেলেছে তখন তাদের সাহায্য করার জন্য এই এলিট কমান্ডো ফোর্সকে পাঠানো হয়।
প্রথমেই চারজন চীনা সেন্য গুরতেজ সিংকে আক্রমণ করে।জো বোলে সো নিহাল...সত শ্রী আকাল...সত শ্রী আকাল বলে রণহুংকার ছেড়ে গুরতেজ সিং দুইজনকে শুন্যে তুলে খাদে ছুঁড়ে ফেলতে যায়।সেই সময় বাকি দুজন তাকে আক্রমণ করে।সেই আক্রমণ সামলে গুরতেজ সিং একাই চারজন চীনা সৈন্যকে খাদে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।ধস্তাধস্তিতে পা পিছলে সেও খাদে পড়ে যায় কিন্তু কোনোভাবে একটা পাথরে আটকে যায়।কিন্তু চারজন চীনা সৈন্য খাদে তলিয়ে যায়।মাথায় এবং ঘাড়ে গুরুতর চোট লাগে গুরতেজ সিং এর।ওই অবস্থা তেই নিজের খুলে যাওয়া পাগড়ী আবার ভালো ভাবে বেঁধে নেয় সে।তারপর নিজের কৃপাণ দিয়ে এক চীনা সেনাকে কুপিয়ে করে তার ধারালো অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।এরপর ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক এক করে সাতজন চীনা সেনাকে কচুকাটা করে। এই সাতজনের মধ্যে একজন তাকে পেছন থেকে আক্রমণ করে।মাটিতে পড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে কৃপাণ দিয়ে সেই আক্রমণকারী কেও ছিন্নভিন্ন করে হত্যা করে সে।
সব মিলিয়ে মৃত্যুর আগে #বারোজন চীনা সৈন্যকে নরকে পাঠায় 'ঘাতক' গুরতেজ সিং। আবার বলছি একাই #বারোজন চীনা সৈন্যকে নরকে পাঠায় গুরতেজ সিং।সিনেমা নয়, এটা বাস্তব। বাস্তবেও এরকম হয়।
যুদ্ধ শেষে মাটিতে চির বিশ্রাম নেওয়া গুরতেজ সিং এর নিথর দেহ ঘাতক প্লাটুনের বাকি সদস্যরা কাঁধে তুলে নিয়ে আসে বেস ক্যাম্পে।সেখান থেকে কফিনে মুড়ে দেহ যায় পাঞ্জাবের বাড়িতে অন্তিম সংস্কারের জন্য।
চোখে জল আসে এইসব বীর পরাক্রমশালী সেনাদের বীরগতির খবর শুনলে।নিজেকে অনেক ছোটো মনে হয় এদের Supreme Sacrifice সামনে।
ভালো থাকবেন পরম বীর গুরতেজ সিং। আমরা আপনার কাছে চিরকাল ঋণী হয়ে থাকলাম।